অধ্যক্ষের বাণী

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
সম্মানিত অভিভাববৃন্দ, শুভানুধ্যায়ী ও প্রিয় শিক্ষার্থীবৃন্দ আসসালামু আলাইকুম।

বাংলায় শিক্ষা শব্দটি এসেছে শাস ধাতু থেকে, যার অর্থ শাসন করা বা উপদেশ প্রদান। এই শিক্ষার ইংরেজি প্রতিশব্দ Education যা সংগৃহীত ল্যাটিন প্রতিশব্দ Educare বা Educatum হতে, যার অর্থ To lead out  অর্থাৎ ভেতরের সুপ্ত সম্ভাবনাকে বা্রে বাইরে করা বা বিকশিত করা। আরো সুন্দরভাবে বলতে পারি, শিক্ষা হলো কোন ব্যক্তির অন্তর্নিহিত গুণাবলীর পূর্ণ বিকাশের জন্য উৎসাহ প্রদান করা। আর এই উৎসাহ প্রদানের গুরুদায়িত্ব ২০০৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়ে সুদীর্ঘ ১১ বছর ধরে অত্যন্ত সুচারুরুরে সম্পাদন করে চলেছে ইস্ট ওয়েস্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজ। এখানে ছোট্টমনিদের খেলার ছলে পাঠদান, মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টরের মাধ্যমে বিনোদন, ছড়া, আবৃত্তি, বর্ণ ছবি, ও এ্যানিমেশন পরিচিতি তাদের স্কুলমুখী করে তোলে এবং তাদের সুপ্তমেধা ও সৃজনশীলতার যথাযথ বিকাশ ঘটায়। সরকারী স্কুলে ৩য় শ্রেণি ভর্তি পরীক্ষায় চান্স পাওয়ার লক্ষ্যে সুনির্দিষ্ট পাঠ প্ল্যানিং এর মাধ্যমে প্লে হতে ২য় শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের অত্যন্ত দক্ষ হিসেবে গড়ে তোলা হয়। একইভাবে ৩য় হতে ৫ম শ্রেণীতে অত্র স্কুলের পাঠদান পদ্ধতি যথেষ্ঠ সুনাম অর্জন করেছে। সূচনালগ্ন থেকেই এ স্কুলের শিক্ষার্থীবৃন্দ প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় কৃতিত্বের স্বাক্ষর রাখছে।

আর তাই ইস্ট ওয়েস্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজ আজ রাজশাহীর অভিভাবকমহলে ব্যাপকভাবে সমাদৃত। এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৯ শিক্ষাবর্ষে সংযোজিত হলো ৬ষ্ঠ শ্রেণি হতে ৯ম শ্রেণির ক্লাস কার্যক্রম, যা ক্রমান্বয়ে একাদশ/দ্বাদশ শ্রেণিতে উন্নীত হবে। এতে করে স্কুলের সাফল্যগাথাঁয় সংযোজিত হলো আরো একটি সোনালী অধ্যায়।

একজন শিক্ষার্থীর মেধা পরিপূর্ন বিকাশের জন্য পাঠ্যপুস্তকের বাইরেও একটি শিক্ষার প্রয়োজন। সৃজনশীল কাজের মাধ্যমে ব্যক্তির বিকাশ ঘটে। বর্তমানে আমাদের দেশে প্রচলিত শিক্ষাব্যবস্থার নামান্তর ‘সৃজনশীল’ শিক্ষা যা বিশ্বে Interactive Creative Learning নামে জনপ্রিয় ।এই Creative Learning হলো বহুমাত্রিক শিক্ষা পদ্ধতি। শিক্ষার্থীর বিষয়ভিত্তিক সৃজনশীল দক্ষতা বাড়াতে, তাদের সৃজনশীলতার যথাযথ বহিঃপ্রকাশ ঘটাতে নিরলস পরিশ্রম করে চলেছে এই বিদ্যাপীঠের একঝাঁক অভিজ্ঞ, দক্ষ, আন্তরিক, কর্মঠ ও সৃজনশীল শিক্ষকমন্ডলী। অত্র স্কুল শিক্ষার্থীদের সঠিক মেধা বিকাশে, তাদের সৃজনশীলতা এবং উদ্ভাবনাকে বিকশিত করার নিমিত্তে যুগোপযোগী গুরুদায়িত্ব পালন করবে। তাদেরকে দেশের দক্ষ এবং সুনাগরিক রুপে গড়ে উঠতে প্রত্যক্ষ সহায়তা প্রদান করবে বলে আমার দৃঢ় প্রত্যাশা। আমার বিশ্বাস সম্মানিত অভিভাবকবৃন্দ ও আপনার সন্তানকে আমাদের পাশে পাবো। ইনশাআল্লাহ।

এম.আখতার হোসেন
বিএ (সম্মান), এম.এ ইংরেজি